প্রথম পর্ব :
ছোটবেলায়, তখন হয়তো আমি এই ক্লাস ফাইভে পড়ি – সেই সময়ে আমাদের বাড়িতে বাবার এক বন্ধু আসতেন ! তিনি আমাদের তথাকথিত চোখে যা সংসার ধর্ম নামে পরিচিত, তা ত্যাগ করেছিলেন ! গেরুয়া পোশাকও পড়তেন ! আমরা, তাকে সাধুবাবা বলেই জানতাম ! আমার বাবা যদিও এইসব ব্যাপারে কোনো কিছু বিশ্বাস করতেন না ! কিন্তু, ওনার লোকের জন্য করার মানসিকতার জন্যই হয়তো ওনার সঙ্গে কথা বলতেন !

আগে আমাদের বাড়িতে গ্রাম থেকে বাচ্চা ছেলে বা মেয়ে সাধুবাবার হাত ধরে কলকাতায় আসতো ! অধিকাংশক্ষেত্রে দেশের বাড়িতে তাদের না থাকার জায়গা ছিল, না দুবেলা দুমোঠো ভালো করে খাবার জুটতো !  বাবাদের এক সংস্থা ছিল, যারা এইসব দুস্থ ছেলে-মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করে দিয়ে হোস্টেলে থেকে পড়ানোর সুযোগ করে দিতো ! বাবা এই অভ্যাসটা পেয়েছিলেন আমার দাদুর কাছ থেকে ! আমার দাদু বহু দরিদ্র ছেলে-মেয়েকে সম্পূর্ণ নিজের খরচে রেখে – পড়াশোনার বন্দোবস্ত করে তাদের ভবিষ্যৎকে ভালো করার চেষ্টা সফলভাবে আজীবন করে গেছিলেন ! সবার হোস্টেলে থাকার সুযোগ হতো না বেশি চাহিদা থাকায় ! তাদের মধ্যে অনেকের রাতে থাকার অভাবের জন্য আমাদের বাড়িতে দুবেলা থাকা আর খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল ! আর, তারাও অনেক সময়ে আমাদের বাড়িকে নিজেদের মতো মনে করে নিয়ে বাকি সব সদস্যদের সঙ্গে বাড়ির কাজও করে দিতো খুশি মনে ! এইরকমই এক সময়ে সাধুবাবা নিয়ে এলেন আমার থেকে বছর পাঁচেক বড়ো মিনতিকে !

দ্বিতীয় পর্ব –  আগমন :
মিনতির মতো যারাই আসতো আমাদের বাড়িতে প্রথমবার, আনার পর আমার মায়ের দায়িত্ব থাকতো তাকে শহরের ধাঁচে একটু তৈরী করে দেওয়া !

সত্যি কথা বলতে কি – একেবারে তাকে স্নান করিয়ে নতুন জামা-কাপড় দিয়ে ঘরে তোলা হলো ! তাতে অবশ্য মিনতির খুব আনন্দ ! তারপর, মায়ের হাথে করা সুস্বাদু তেল কই খেয়ে সেতো অন্য জগতে !

সাধুবাবার মতে – “যে দুদিনে একবার ভাত পায়, তাকে যদি নতুন জামা পরিয়ে দুবেলা দুমুঠো খেতে দাও – তার অভিযোগ আর কি থাকবে ! তবে, দেখো মেয়েটা খুব ভালো ! শুধু, ওকে একটু দেখে খাবার দিও – কারণ ওর লিভার-এর রোগ আছে ! ও নিজের খাবারের পরিমান ঠিক বোঝে না !”

এর আগেও মা বহু বাচ্চাদের দেখেছে ! কাজেই মায়ের সেটা বুঝতে বেশি অসুবিধা হলো না !

আর, আমারও বেশ ভালো লাগলো ! একজন খেলার সাথী তো বাড়লো ! তাই বা কম কি !

তৃতীয় পর্ব –  কর্মযজ্ঞ :
কিছুদিন পর শহরের আদব কায়দা বুঝে নিয়ে মিনতি সবার সাথেই আনন্দের সঙ্গে মিশে থাকতে শুরু করলো ! সত্যি কথা বলতে কি শুরুর দিকে একটু বাড়ির জন্য মন কেমন করলেও – পরে কিন্তু ও নিজেই বলতো – “আমি মামীকে ছাড়া কোথাও যাবুনি !”

“মামী” মানে আমার মা ! আর, সবাই ওকে খুব ভালোবাসতো ! কারণ, ওর কথায় মেদিনীপুরের একটা টান ছিল ! আমাদের শুনতে বেশ ভালোই লাগতো !

তবে খিদে পেলে ওর আর কিছু খেয়াল থাকতো না ! কলকাতায় আসার পর বাবা নিজের খরচে ওকে কিছু ডাক্তারও দেখিয়েছিলেন ! যাতে, লিভার এর রোগটা একটু কমানো যায় !

তার সঙ্গে সব থেকে বড়ো কর্মযজ্ঞের দিন এসে উপস্থিত হলো ! বাবা কলেজস্ট্রিট থেকে নতুন খাতা, বই, পেন্সিল আর রাবার কিনে আনলেন ! যেদিন, নিয়ে আসবে – তার আগের দিন ওকে বলা হলো ! উৎসাহে, মেয়েকে তো আর ধরে রাখা যায়না ! বাবাও খুশি হয়ে ওর আগ্রহ দেখে সঙ্গে মলাট দেওয়ার কাগজও নিয়ে এলেন ! যাতে, মেয়ের আরো উৎসাহ থাকে !

প্রথমদিন, সব বই-পত্র মা ভালো করে মলাট দিয়ে সুগন্ধি মাখানো স্টিকার ওর বইতে লাগিয়ে দিলো – ঠিক যেমন আমারটায় ছিল !

এইবার, বিকেলে সন্ধ্যের চা-মুড়ি আর ফুলুরি দিয়ে খেয়ে বাবা ওকে নিয়ে মাটিতে মাদুর পেতে বসলেন ! শুরু হলো বর্ণপরিচয় শিক্ষাদান পর্ব !

সত্যি কথা বলতে কি “পারদ” – পড়া শুরুর আগের আগ্রহকে যদি মাপতো, তাহলে হয়তো ওর আগ্রহের পরিমানের ফলস্বরূপ পৃথিবীর ছাদে গিয়ে নিশ্চই পৌছাতো ! এইবার, বাবার লেখা অক্ষরের ওপর ওকে পেন্সিল দিয়ে বুলিয়ে সেটা মুখে বলার কথা বলা হলো ! বাবা বললেন – “এই আমি আজ অ, আ লিখে দিলাম ! মুখে বলবি কুড়িবার – আর তার সঙ্গে-সঙ্গে পেন্সিল দিয়ে আমি যেভাবে লিখেছি, সেইভাবে লিখবি ! তোর পেন্সিলের দাগ যেন আমার দাগের বাইরে বেশি না যায় !”

এই কথা বলার উদ্দেশ্য হলো একটাই – “যাতে লেখাটা ভালো করে লিখতে পারে, আর দেখতেও সুন্দর হয় !

কিন্তু, যতই বোলানোর সংখ্যা বাড়তে লাগলো – ততই আগ্রহের পারদের মাত্রা ক্রমশ নিচে নামতে থাকলো ! খান আষ্টেক বোলানোর পর ও জিজ্ঞাসা করলো – “মামা ! আমি কি আজীবন অ আর আই নিকে যাবো ?”

শুনে বাবা গম্ভীর হয়ে বললেন – “আপাতত, যা করতে বলা হয়েছে – সেটা কর !” এরপর, আবার অক্ষরে বোলানো চলতে থাকলো !

কথাটা শুনে বাড়ির বাকি সবাই হো-হো করে হেসে উঠেছিল !

চতুর্থ পর্ব –  অনুষ্ঠান :
এরপর, বাড়িতে এক দুর্ঘটনা ঘটে ! আমার, ঠাকুরদা মারা যান বয়স জনিত কারণে ! মৎসমুখীর দিন ওনার প্রিয় ইলিশ মাছ বাড়িতে আনা হয়েছে ! সেইদিন সকাল থেকে বাড়ির বড়োরা সবাই ভীষণ ব্যাস্ত !

ঠাকুর লাগিয়ে রান্না-বান্না চলছে ! কাজেই ওই অনুষ্ঠানের বাড়িতে আমরা ছোটরা সবাই টুকটাক যা পাচ্ছি খেয়ে যাচ্ছি ! মিনতির ও তার ব্যাতিক্রম নেই ! সত্যি কথা বলতে কি, কোথায় কি খাবার পাওয়া যায় – তার সব হারির খবর ও রাখে ! এবং, ওই আমাদেরকে সেগুলো দিচ্ছে !

এর খানিক্ষন পরে আমারই এক জারততো দিদির সাথে পাড়ায় আরো কয়েকটা বাড়িতে ঘুরে এসেছে ! সেখানেও, ও লৌকিকতার খাতিরে পেট পুজো করে এসেছে ! তারপর, দুপুরবেলায় আবার ঠাকুরের তৈরি কুরিপদের রান্না খেয়ে বাড়ি ফিরেছে ! আবার, বিকেলে লোকে আসার পর যা ফল বা মিষ্টি যা এসেছে, তার থেকেও বেশ কিছু টুপটাপ করে পেটে চালান হয়েছে ! রাতেও, প্যান্ডেল এ খাওয়াদাওয়া করে সবাই বাড়ি ফিরেছে ! সত্যি কথা বলতে কি খাবার একটু বেঁচে যাওয়ার জন্য সেগুলো আবার সব পরিবারের লোকজনদের মধ্যে ভাগ ও করে দেওয়া হয়েছে ! যাতে পরেরদিন কাউকে আর না কিছু করতে হয় দুপুরের খাবার জন্য !

পঞ্চম (শেষ) পর্ব – জিজ্ঞাসা :
পরেরদিন, আমাদের বাড়িতে কিছু লোকজন থেকে যাওয়ার জন্য মা সকাল-সকাল লুচি আর সিমুইয়ের পায়েস আর সাথে আলুর ঝাল তরকারি বানিয়ে সবাইকে দিয়েছে !

মিনতি গোটা বারো খেয়ে মাকে জিজ্ঞাসা করলো – “মামী ! আরেকটু হবেনি ?”

মা বললেন – “দেখ মিনতি ! বুঝে খা ! কাল থেকে আমি তোকে দেখিনি ! টানা উল্টোপাল্টা তুই খেয়ে যাচ্ছিস ! বেশি খেলে কিন্তু শরীর খারাপ করবে – তোর এমনি লিভারের প্রব্লেম আছে !” শুনে মিনতি বললো – “না ! মামী ! কিছু হবেনি ! আমার আর দুটি খেতে অসুবিধা হবেনি !”

বাবা শুনে বললেন – “আরে দাও ! ছেলেমানুষ ! খেতে চাইছে !”

মা শুনে তখন আরো দুটো লুচি দিলো ! ও খেয়ে উঠে পড়লো !

এর, মধ্যে আমার আরো দুই পিস্ততো দাদা আসার পর ওদের সঙ্গেও আমরা পাড়ায় ঘুরতে বেড়ালাম ! সেখানে, পিস্ততো দাদাকে পাড়ায় এক কাকিমা ডেকে চিনতে পেরে আমাদের সবাইকে ঘরে ডাকলেন ! ওই কাকিমা ভীষণ ভালো পিঠে বানাতেন ! অন্য সময় হলে আমি গোটা তিনেক খেয়ে ফেলতাম ! কিন্তু, বিগত কদিনের অত্যাধিক খাওয়াদাওয়ার জন্য কারোরই বিশেষ খিদে ছিল না ! প্রায় প্রত্যেকের পাতের অবশিষ্ট অংশটা খুব তৃপ্তির সঙ্গে মিনতি নিমেষে উড়িয়ে দিলো !

এরপর, দুপুর বেলায় আমার স্কুলের কিছু বন্ধু মিষ্টি নিয়ে এসে আমায় ডাকতে থাকলো !

আমি দেখে বললাম – “আরে তোরা ! আয় – আয় ! এতো দেরি করলি কেন ?”

ওরা আমার হাথে দুটো দামি গাওয়া ঘির নামকরা মিষ্টির প্যাকেট ধরিয়ে দিলো ! আমার কখনোই অরুচি নেই মিষ্টিতে ! কিন্তু, সেদিন প্রথম – এত ভালো গন্ধ সত্ত্বেও আমি মিনতির হাথে প্যাকেটটা দিয়ে বললাম – “এটা ফ্রীজে ঢুকিয়ে দে ! পরে খাবো !”

ও জিজ্ঞাসা করলো – “দাদাভাই, আমি একটা খাবো ?”

আমি বললাম – “ওই ! তুই খেতে পারবি ? তুই তো কাল থেকে বাইরে খেয়েই চলেছিস ! বুঝে খাস কিন্তু ! মা জানতে পারলে এবারে দেবে কিন্তু !”

ও বললো – “ও কিছু হবেনি ! একটা খেনে !”

আমি মাথা নেড়ে হাঁ বোঝানোর সঙ্গে-সঙ্গে আমার থেকেও দ্রুত প্যাকেট খুলে টপাটপ এক মুঠো নব-গুইয়ের স্পেশাল বোঁদে মুখে পুড়ে দিলো ! আমরা সবাই অবাক হয়ে দেখতে থাকলাম ! করে কি !

দুপুর একটা বাজে ! মা, সবাইকে খেতে দিয়েছে ! সবার আগে মিনতি থালার সামনে হাজির ! আগের দিনের রান্না থাকা ইলিশ সর্ষে দিয়ে ওকে দেওয়া হলো ! মা জানে ও খেতে ভালোবাসে ! তাই, শুরুতেই ওকে দুটো মাছের বড়ো পিস দিয়ে বললো – “আজ কিন্তু আর নয় ! নাহলে, তোর শরীর ঠিক থাকবে না !”

ও নিমেষের মধ্যে খেয়ে নিয়ে মা কে আসতে করে বললো – “মামী ! আর একটা হবে গো?”

মা এবারে বেশ জোর দিয়ে বললো – “মিনতি তোর লিভার এর দোষ আছে ! এ-কদিন, সারাক্ষন বাইরে খাচ্ছিস ! শরীর খারাপ হলে আর দেখতে হবে না ! আর একটাও নয় ! আমি, এই তোর নামেই তুলে রাখছি – রাতে খাস !”

শুনে ও বললো – “মামী আর একটা দিবেনি গো?

বাবা তখন বললেন – “আচ্ছা ! দাও না – বাচ্চা মেয়ে চাইছে !”

মা এবারে রেগে গিয়ে বললেন – “কিছু হলে তুমি বুঝবে !”

বলে ওকে মা আরো এক পিস দিলো ! সেটাও, ও নিমেষের মধ্যে খেয়ে নিলো !

এর মধ্যে বাড়িতে কেও কড়া নাড়ছে ! মা মিনতিকে বললো – “এবারে উঠে একটু দেখতো কে এসেছে?”

মিনতি – ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে !

মার একটু সন্দেহ হওয়াতে জিজ্ঞাসা করলো – “কি হয়েছে?”

তখন ও বলছে – “মামী ! আমি না এই নাক অব্দি খেয়েচি ! আমায় একটু তুলে দেবেগো ?”

এই কথা শুনে – মা তো ভীষণ রেগে গিয়ে বাবাকে বলতে থাকলেন – “এই ভয়টাই পাচ্ছিলাম ! এবারে তুমি সামলাও !”

আমি গিয়ে কোনোরকমে ওকে টেনে একটু ধরতে ও ওঠার চেষ্টা করলো ! উঠতে গিয়ে পায়ের তোড়াটা গেলো ছিড়ে !

তারপর, মাকে জিজ্ঞাসা করছে – “মামী ! আমি একটু ছুটবো?”

মা তো ভয় পেয়ে গিয়ে সঙ্গে-সঙ্গে ওকে ওষুধ দিয়ে বজ্রাসন করতে বললো ! বললো – “এটা কর কমপক্ষে পনেরো মিনিট ! আর, এখন জল খাবি না !”

কিছুক্ষন হওয়ার পর একটু কষ্টটা কমতে ও বললো – “মামী ! এখনও জল খাবুনি ?”

মা বললো – “না খেলেই ভালো ! খেলে বড়োজোর দু-ছিপি ! তার বেশি নয় !”

আবার, দুম করে আধ গ্লাস জল খেতেই শরীরে সেই অস্সস্তি হতে লাগলো ! এইবারে, মা ওকে অল্প একটু জোয়ানের আরোক খেতে দিলো ! এবং, বলে দিলো – “আজ আর কোনো খাবার নয় ! রাতে আমি একটু চিরে ভিজে দেব !” আর যদি একটা কিছুও দাঁতে কাটতে দেখেছি তো তোর একদিন নাহয়তো আমার একদিন ! সত্যি কথা বলতে কি মা যে ওর ভালোর জন্য বলছে – সেটা ও বুঝতে পেরেছিলো ! তাই, আর কথা না বাড়িয়ে অক্ষরে-অক্ষরে সব শুনেছিলো !

কিন্তু, একদিনের অত্যাচারের ফলটা তো পাবার সময় এসেছে ! হঠাৎ ও বললো – “মামী ! বাথরুম নেগেছে !” এই বলে দৌড়ে গিয়ে ঢুকলো ! এরই মধ্যে আমার এক জার্তুত দাদাও একদিনের অত্যাধিক খাওয়ার জন্য পেটের গন্ডগোল বাধিয়ে বসেছে !

মিনতি ঢোকার কিছুক্ষনের মধ্যে ওর দরজায় ধাক্কা – “মিনতি শিগগির খোল ! খুব জোরে পেয়েছে !”

আবার, দাদা ঢোকার কিছুক্ষনের মধ্যে মিনতির ধাক্কা – “দাদা ! শিগগির বেড়াও ! খুব জোর বাথরুম নাগতিছে !”

এই অবস্থা দেখে আমরা হাসবো না ভয় পাবো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না ! দুজনে মিলে প্রায় দু-ডজন যাবার পর কড়া ওষুধে থামলো !

তার সঙ্গে মা আরো বলতে শুরু করে দিলেন – “এই জন্য আমি বুঝে খাবার দি ! ছেলেমানুষ ! এত বোঝে না ! কিছু হলে তখন কি হবে ?”

বিকেলে কিছু না খাবার পর শরীরটা অনেকটাই ঠিক হলো ! তার সঙ্গে মায়ের দেওয়া মেট্রোজিলটা ভীষণ কাজ দিয়েছিলো ! হঠাৎই, ও কোমরে হাত দিয়ে খুব গম্ভীরভাবে বাবাকে একটা প্রশ্ন করে বসলো – “মামা ! তুমি জানোনি – আমার নিভারের রোগ আঁচে ? আমার বেশি খেতি নেই ? মামীই-তো ঠিক ছিনো !”

বাবা খানিকটা হকচকিয়ে গেলেও – নিজেকে সামলে নিয়ে হেসে বলে উঠলেন – “বাহ রে ! ওনার জন্য বলে – আবার উনি উল্টে আমার নামে মামীর কাছে নালিশ করছেন !”

আর সেই সঙ্গে মা ও বাড়ির আমরা সকলে হো-হো করে হেসে উঠলাম !

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ : সমস্ত ছবি আমার নিজের তোলা – এই ছবির সাথে গল্পের চরিত্রের কোনো মিল নেই ! নেহাৎ প্রচ্ছদের কারণে প্রতীকী হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে !
বিশেষ ঘোষণা :
  • আমার এই গল্পের মূল কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই ! যদি, কোনো কারণে তা হয়েও থাকে, নিতান্তই কাকতালীয় !
আমার গল্প কেমন লাগলো তা এখানে একটা ছোট্ট-কমেন্টস দিয়ে জানালে খুব ভালো লাগবে !

আশা করি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন !

@কপিরাইট – সাত্যকি দে
Subscribe বোতাম এ ক্লিক করুন আপনার ইমেইল দিয়ে, ও আরো অনেক ছবির সাথে ঘুরতে যাওয়ার গল্প পড়ুন !