প্রকৃতির অনবদ্য অভিজ্ঞতা :
আমার ফটোগ্রাফির যে অভিজ্ঞতা গত কয়েক বছরে হয়েছে, তার ই মধ্যে আমার নিজের ই তোলা কিছু ছবি নিয়ে একটা ছোট তালিকা নিয়ে হাজির হলাম ! এখানে, আমি আমার অত্যন্ত পছন্দের পনেরোটি ছবি দেব ! প্রতিটা ছবির সাথে ছোট্ট একটু বর্ণনা দেব, যাতে সবার দেখতে ও পড়তে খুব ভালো লাগে ! 
পনেরো :
১৭-মাইলস ড্রাইভের অনবদ্য সৌন্দর্য সত্যি তাক করে দেওয়ার মতো ! তার, বিস্তৃত পাহাড় এর সাথে অপূর্ব নীল প্রশান্ত মহাসাগর যেন দুই জগতের সংযোগস্থল ! 

চোদ্দ : 
যদিও এই পরের ছবিটা দেখলে অনেকেই হয়তো ভেবে বসবেন যে এটা কোনো পাহাড়ের ওপর কিছু বরফের জমে থাকার ছবি ! কিন্তু, এই ইয়েলোস্টোনের ছবিটা আসলে পাহাড়ের ওপর বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফল ! আরো ভালো করে বলতে হলে – সালফার এর যৌগ ! 

তেরো :
পরের ছবিটি হলো সেই বিখ্যাত গ্রান্ড টেটোন-এর পর্বতমালা ! কি অসাধারণ এর উপস্থিতি ! মনে হয় চোখ বুঝে সেই বিশালতার উপলব্ধি করতে পারি যখন ই ভাবি ! 

বারো : 
ইসোমিতে – আরেক অনবদ্য জঙ্গলমহল যেখানে প্রকৃতির বিশালত্ব ও বৈচিত্র চোখে পড়ার মতো ! তার সঙ্গে যুক্ত বিখ্যাত কয়েকটি জলপ্রপাত ও নদী সেই জায়গাকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে !

এগারো : 
এই পরের ছবিটা আমার অন্যতম প্রিয় সূর্যাস্তের ছবি ! তার সাথে এটি প্রকৃতির ও বটে ! রেনো থেকে ফেরার সময় রাস্তায় তোলা !

দশ : 
ইয়েলোস্টোনে ঘোরার সময় তোলা এই ছবিটা আমার অন্যতম পছন্দের ! তাই, এই ছবিটাকে আমি আমার প্রথম দশটা ছবির মধ্যে রাখি ! 

নয় : 
আবার বলতে চাই যে লেক-তাহো বা ইয়েলোস্টোনের মতো ইসমিতেও অনেক কিছু দিতে পারে যেকোনো পর্যটককে ! 

আট : 
এই প্যানোরামিক ছবিটা হলো ইয়েলোস্টোনের অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গা ম্যামথ-লেকের খুব কাছে ! সৌভাগ্য বসত সেই দিনকার আবহাওয়া ঘোরার জন্য আদর্শ ছিল !

 

সাত : 
পছন্দের প্রকৃতির মধ্যে যে গ্রান্ড ক্যানিয়ন থাকবে না, তা কি করে হয় ! এই জায়গাটার বিশেষত্ব হলো – বিভিন্ন সময়ে এর রূপ সম্পূর্ণ আলাদা ! তাই, আরো বেশি আকর্ষণীয় !

ছয় :
শীতের মধ্যে তুষারাবৃত পাহাড়ের গা বেয়ে ট্রেন যখন চলে, তার অভিজ্ঞতা কিন্তু যেকোনো সিনেমা বা গল্পের বইকে হার মানাতে পারে ! লেক-তাহো যাওয়ার আমাদের সেই অভিজ্ঞতা কিন্তু ভোলার নয় !

পাঁচ : 
গ্রান্ড টেটোন যখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলাম, ঠিক তখন ই ভাগ্য ক্রমে আমরা এই ভ্যালিটি দেখতে পাই ! দূরে পাহাড়, মাঝখানে নদী ও তার চারপাশে সুন্দর গাছপালা ও জঙ্গলে ঢাকা জায়গাটি অসম্ভব সুন্দর ! 

চার : 
এই জায়গায় পৌঁছানোর পর বেশ কিছুক্ষন আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে গেছিলাম এর সৌন্দর্য দেখে ! এইরকম নীলাভ আভা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম ! 

তিন : 
আমার পছন্দের প্রথম তিনটা ছবির মধ্যে এর থাকাটা খুব ই স্বাভাবিক ! আমি হয়তো ঝর্ণা বা বোরো জলপ্রপাত বেশ কিছু দেখেছি, কিন্তু এইরকম সুন্দর পরিবেশে একসাথে এতগুলো ঝর্নাকে একসাথে দেখা, ও তার ওপরে ঝর্ণার জলকণা থেকে তৈরী রামধনু দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম !

দুই : 
লেক-তাহোর এই ছবিটা আমার অন্যতম প্রিয় ও মনের খুব কাছে ! বাংলায় একটা প্রবাদ আছে যে – “কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে” ! এই জায়গাটায় আমরা পৌঁছাতে গিয়ে তুষার ঝরে রাস্তায় আটকে যাওয়া থেকে শুরু করে, গাড়ির চাকা পিছলে যাওয়া ও আরো কতকি সামলাতে হয়েছে ! শেষে, এই দৃশ্য দেখে আর কোনো অভিযোগ মনে রেখে দিতে পারিনি !

এক :
আমার পছন্দের সেরার সেরাটি যে ইয়েলোস্টোন থেকে হবে, সেটা আশা করি অনেকেই ধরে ফেলেছেন ! কারণ, আমি মনে করি – এই “গ্রান্ড পৃষ্মাটিক প্রিজম” এর বিরুদ্ধে শক্তিশালী খুব কম প্রতিপক্ষকে পাওয়া যাবে ! এর ব্যাপ্তি, এর রং এবং এর পরিবেশ – সব মিলিয়ে একে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখে ! 

আশা করবো আমার এই প্রয়াস আপনাদের ভালো লেগেছে ! আর আপনারাও জানাতে পারেন আপনাদের পছন্দের পনেরো তালিকা প্রকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে ! আবার, এরকমই আরেকটা পোস্ট নিয়ে আপনাদের কাছে আসবো !

ততদিন, আপনারা নিজেরা সুস্থ থাকবেন ও ভালো থাকবেন !

Subscribe বোতাম এ ক্লিক করুন আপনার ইমেইল দিয়ে, ও আরো অনেক ছবির সাথে সংগ্রহের ডালি উপভোগ করুন !