পাখির জগতে :
ফটোগ্রাফির জগতে সব থেকে কঠিন বিষয় হলো যেকোনো পাখির ছবি তোলা ! এটা শুধু কঠিনই নয়, তোলার জন্য অনেক ধৈর্য, তার সঙ্গে নিজেকে সব-সময় তৈরী রাখতে হয় ! কারণ, কোনো বিশেষ মুহূর্ত ধরার জন্য দ্বিতীয় কোনো সুযোগ পাওয়া যাবেনা ! তাই, এটা আমার অত্যন্ত প্রিয় যদি ছবিটা খুব ভালো আসেতো !  আর কোনো কথা না বাড়িয়ে এবারে শুরু করা যাক !
পনেরো :
“ফিঞ্চ” হলো এক ধরণের গায়ক পাখি ! খুব ছোট আকারের ! একটা ছোট্ট লাঠির ডগায় বসে ছিল ! ভীষণ হাওয়ার দাপটে উড়তে না পেরে ঐখানে কিছুক্ষনের জন্য প্রায় মাটি কামড়ে বসে ছিল ! সেই সুযোগে ছবিটা আমার টেলি-লেন্সে ধরে ফেললাম !

চোদ্দ :
পরের ছবি হলো “জুনকো” পাখি ! এদের অনেক প্রজাতি আছে ! একটা প্রজাতি আবার অনেকটাই আমাদের চড়াই পাখির মতো ! এই পাখিটা নিজের মতো খেলতে থাকছিল ! কিন্তু, যখন আমি আমার টেলি-লেন্স নিয়ে ছবি তুলতে গেলাম – পাখিটা বেশ অনেকক্ষণ ধরে আমাকে দেখতে থাকলো ! যখন, ওর মনে হলো যে কোনো বিপদ নেই – তখন আবার নিজের মতো খেলতে শুরু করলো ! একেই মনে হয় বলে স্বাভাবিক প্রবৃত্তি বিপদের সন্ধান পেলেই !

তেরো :
শীতকালের ক্যালিফোর্নিয়াতে “ব্ল্যাক ফিবে” পাখির রোদ পোয়ানো !

বারো :
এই পাখিটার ছবিটা কিন্তু আমার কাছে খুব মজার ছিল ! খুব কম সময়েই এইরকম সুযোগ পাওয়া যায় যখন পাখি আমার প্রায় মনের মতো সময় দিয়ে বিভিন্ন ছবি তোলার সুযোগ করে দিলো !

এগারো :
এই পাখিটা ভীষণ সুন্দর ! এর সুন্দর নীল রঙের পালক এতটাই আকর্ষণীয়, যেকোনো মানুষ একবার দেখলেই তাকিয়ে থাকতে হবে !

দশ :
এই পশ্চিম “নীল রঙের পাখি” কিন্তু খুবই ছোট ! প্রায়, আমার হাথের তালুর মধ্যে গোটা পাখিটি চলে আসবে !

নয় :
পরের ছবিটা আরো এক “পশ্চিম নীল-রঙের পাখি”-র ! এই ছবিটা আমার ভীষণ পছন্দের ! তার কারণ, সামনের গাঢ় খয়েরি রঙের জায়গাটি যার ওপরে ছোট্ট পাখিটি বসে আছে – অন্যদিকে, দূরে হলুদ ফসলের আভা ! এই দুই মিলিয়ে একটা দুর্দান্ত ক্যানভাস তৈরী করেছে !

আট :
এই পাখিটি আমাদের দেশে হয়তো দেখতে পাওয়া যায় না ! একে ইংলিশ এ বলে “টিটস” ! সত্যি কথা বলতে কি সান রামোন এ থাকার সময়ে বেশ কিছু অসাধারণ প্রজাতির পাখি দেখার সৌভাগ্য হয়েছে !

সাত :
পরের ছবিটা হলো হামিংবার্ড এর ! এই পাখির ছবি তোলা মনে হয় অন্যতম কঠিন ! কারণ, এই পাখিটা এতো দ্রুত দানা ঝাপটায় ও তার সঙ্গে এতো দ্রুত নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে যে যেকোনো ফোটোগ্রাফারের হাথে দুই থেকে তিন সেকেন্ডের বেশি সময় থাকেনা !

ছয় :
এই লাল সারস পাখি গুলো ফ্লোরিডা শহরের গরম আবহাওয়াতে মানুষ ! এরা দলবদ্ধ হয়ে থাকতে ভালোবাসে ! প্রায়, সব সময় এরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে চলেছে ! মনে হবে যেন কোনো হাঠে চলে এসেছি !

পাঁচ :
আমার অন্যতম প্রিয় হলো এই ছবিটা ! এখানে, মাতৃত্বকে ভীষণ সুন্দরভাবে চেনা যায় ! এই নীল রঙের পাখিটা দূর থেকে খাবার জোগাড় করে এনে আগে তার বাচ্ছাটাকে খাওয়াচ্ছে !

চার :
আবার সেই চড়াই পাখির মতো দেখতে পাখিটা খুব ব্যাস্ত ছিল তার খাবার জোগাড়ের জন্য ! পাখিটা একটু-একটু করে খাবার জোগাড় করে তার বাসায় রেখে এসে আবার পরের খাবারটা জোগাড় করতে আসছে !

তিন :
এই হাঁসের পরিবার কিন্তু এইদিন আমায় পরিবারের কর্তব্যবোধকে শিখিয়েছে ! আমি দূরে ক্যামেরা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকায় সামনে ও পেছনে বাবা ও মা হাঁসটি তাদের ছানা গুলোকে আগলে রেখে হেঠে তাদের গন্তব্যস্থলে চলে গেলো ! তার সঙ্গে তাদের ছানাপোনাকে এই আস্বস্ত করলো যে তারা সুরক্ষিত ! শুধু তাই নয়, এটাও তারা শিখলো যে তারা বড়ো হলে তাদেরও এইরকম দায়িত্ব নিতে হবে !

দুই :
এই ছবিটা আমার ভীষণ প্রিয় তার কারণ এর এই কম্পোসিশন এর জন্য ! দূর থেকেও পাখি বোঝা গেলেও এই ছবিটা একটা চিরাচরিত পাখির বিকেলে ফেরার কাহিনীকেই ব্যাক্ত করে !

প্রথম :
সব থেকে রাজকীয় হলো এই বাজ পাখির ছবিটা ! এর রং, ব্যবহার, বুদ্ধি, শিকার ও ক্ষিপ্রতা একে অন্য সব প্রাণীর থেকে আলাদা স্থানে তুলে রাখে ! ডানা মেলে সে যখন শিকার খুঁজতে থাকে, তার সেই আবির্ভাব যেকোনো বড়ো রাজার থেকে কোনো অংশে কম নয় ! 

আশা করি আমার এবারের তালিকা আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে ! আপনারা আপনাদের পছন্দের তালিকাও আমাদের এখানে দিতে পারেন !

আশা করি আপনারা সুস্থ আছেন ও ভালো থাকবেন !

Subscribe বোতাম এ ক্লিক করুন আপনার ইমেইল দিয়ে, ও আরো অনেক ছবির সাথে সংগ্রহের ডালি উপভোগ করুন !