সেই পরিকল্পনা মতো, যাওয়ার দিন সকালে উঠে আমরা প্রায় দশটার মধ্যে তৈরী হয়ে গেলাম ! বাড়ি থেকে ব্রাঞ্চ সেরে বেরিয়ে পড়লাম ! এইবার, আমাদের যেতে হবে সান-হোসে এয়ারপোর্ট ! আমার বাড়ি থেকে ওখানে পৌঁছাতে লাগে প্রায় ঘন্টা দেড়েক ! দুপুর দুটোই আমাদের ফ্লাইট ! এয়ারপোর্ট-এ পৌঁছে সিকিউরিটি চেকইন করতে লাগলো প্রায় ঘন্টা খানেক ! তারপর, ফ্লাইট এর গেট-টা দেখে নিয়ে আমরা বোর্ডিং এর জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম ! সঙ্গে, সবাই একটা করে ফ্রেশ দার্জিলিঙ চা কিনে নিয়েছিলাম ! কিছুক্ষনের মধ্যে আমাদের বোর্ডিং করার কথা ঘোষণা করা হলো ! ফ্লাইট-এ যেতে লাগবে এক ঘন্টা দশ মিনিট ! সিট-এ বসার কিছুক্ষনের মধ্যেই আমাদের ফ্লাইটটা ছেড়ে দিলো ! জানলার কাঁচ দিয়ে দেখতে পেলাম প্লেনটা বে-এরিয়ার সবুজ পরিবেশ ছেড়ে আস্তে-আস্তে খানিকটা রুক্ষ-সুক্ষ লস-এঞ্জেলেস এর ওপর দিয়ে উড়তে থাকলো !

কিছুক্ষনের মধ্যে আমরা শুনতে পেলাম পাইলট এর গলায় – “লস-এঞ্জেলেস এ আপনাদের সবাইকে স্বাগত !”
আধ-ঘন্টার মধ্যে ব্যাগ নিয়ে আমরা এয়ারপোর্ট এর বাইরে পাবলিক টার্মিনাল-এ এসে উবের বুক করে দিলাম ! মিনিট দশেকের মধ্যে আমাদের গাড়ি চলে এলো ! এইবার, আমরা যাবো – আমাদের এয়ার-বিনবি হোটেলে ! আর, এই হোটেল এর লোকেশন হচ্ছে খোদ হলিউড এর মধ্যে ! আমাদের হোটেল থেকে হলিউড বুলেভার্ড যেতে লাগে মিনিট দশেক, তাও আবার হেঠে !
যাওয়ার সময়ে ক্যাবে দূর থেকে লস-এঞ্জেলেস শহরটা দেখতে থাকলাম ! আর, দেখেই সবার আগে আমার – “ভলকানো” আর “স্পিড” সিনেমা দুটোর কথা মনে পড়ছিলো !

বিশ্ব-বিখ্যাত লস-এঞ্জেলেস এর ট্রাফিক কাটিয়ে পৌঁছাতে লেগে গেলো প্রায় ঘন্টা দুয়েক ! সাধারণত, যা হওয়া উচিত চল্লিশ মিনিটের মতো !
রুম-এ পৌঁছে সব কিছু চেক করে নিয়ে – ঘোরার প্লানটা সেরে নিলাম ! ঠিক করা হলো – সূর্যটা একটু পড়তেই আমরা বেরিয়ে পরবো হলিউড বুলেভার্ড ঘুরতে ! আর, ঐদিনটা আমরা ওর চারপাশেই শুধু ঘোরাঘুরি করবো ! অন্য কোথাও যাবো না !
সন্ধে ছটা নাগাদ আমরা চা আর সন্ধে বেলার একটু স্নাক্স খেয়ে গায়ে হালকা একটা জ্যাকেট পরে বেরিয়ে পড়লাম ! হলিউড এর চারপাশ আমেরিকার অন্যান্য জায়গার থেকে বেশ গরম ! তাই, এখানে পাতলা সোয়েটার বা জ্যাকেট-ই যথেষ্ট ! মিনিট পাঁচেক হাঁঠতেই সেই রাস্তায় এসে পৌছালাম !
এর ঠিক উল্টো-দিকেই হচ্ছে – “চাইনিস্ থিয়েটার” !
 |
তার ওপরে, সিনেমার প্রমোশন একটা বোরো স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে !

|
যদিও, আমরা সরাসরি রাস্তা পার হতে পারবো না ! আমাদেরকে ওই মোর থেকে ডানদিকে খানিকটা গিয়ে ক্রসিং থেকে রাস্তা পার হয়ে তারপর আবার বাঁদিকে আস্তে হলো ! এই সময়ে আমরা পাশে দাঁড়িয়ে থাকা – “হার্ড রক কাফে” দেখতে পেলাম !

এরপর, ওর পাশে কিছুক্ষন থেকে আমরা আবার উল্টো দিকে হাঠতে শুরু করলাম ! এবারে, আমাদের যাওয়ার লক্ষ্য হলো – “ডলবি থিয়েটার” ! তার সাথে-সাথে আমরা ফুটপাথ গুলোতে লক্ষ্য করে যেতে থাকলাম ! হলিউডে নামকরা সেলেব্রিটিদের নিজের হাথে সাইন করা ফলক বসানো আছে ! তার মধ্যে আমার পছন্দের কয়েকজনের ফলক এর একটা কোলাজ তুলে ধরলাম !

আরো কিছুটা এগিয়ে যেতেই সামনে দেখতে পেলাম বিখ্যাত সেই – “ডলবি থিয়েটার” !

এই হলো, সেই জায়গা যেখানে প্রতি বছরে সারা পৃথিবীর চোখ থাকে সে বছরে সেরার শিরোপা কোন সিনেমা বা নায়ক বা নায়িকা বা পরিচালক এর কাছে উঠছে ! হাঁ ! ঠিক-ই ধরেছেন – এখানেই, সেই বিখ্যাত – “অস্কার” এর অনুষ্ঠান হয় ! আর, ভেতরে ঢোকার মুখে সিঁড়িটা দেখেই যেন গায়ের লোমগুলো সব এক্সসাইটমেন্ট এ খারা হয়ে গেলো !
 |
সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে একটু এগোতেই পাশে দেখা গুলো একটা ওপেন প্লাটফর্ম ! এবং, তার চারপাশে দোতলা ও তিনতলায় রয়েছে অনেক দামি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ! |

আমরাও, গিয়ে ওখানে খানিক্ষন ঘোরার পর একটু “বার্গর” খেতে একটা রেস্টুরেন্ট এ ঢুকলাম ! সঙ্গে, আমরা কজন কোক নিলাম, আর অর্পিতা নিলো চা !
ওখানে, প্রায় ঘন্টা দেড়েক কাটিয়ে ঠিক করা হলো উল্টো ফুটপাথে “রিপ্লেইস ওয়াক্স মিউসিয়াম” আছে ! সেইটা দেখে নিয়ে আমাদের হোটেল ফিরে যাবো ! যেমন ভাবা, তেমন কাজ ! মোবাইল থেকে অনলাইনে টিকেট কেটে আমরা সেখানে ঢুকে পরলাম ! আমার, কিছু ব্যাক্তিগত পছন্দের কয়েকটা মোমের সেলিব্রিটি কাঠামোকে আমি এখানে দিলাম !

|
দ্বিতীয় দিনে আমাদের আগে থেকে সব কিছু প্ল্যান করা ছিল ! আমরা তাই সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে তৈরী হয়ে ব্রেকফাস্ট করে উবের ধরে বেরিয়ে গেলাম ! আজ আমাদের লক্ষ্য – “ইউনিভার্সাল ষ্টুডিও” ! এই হলো সেই জায়গা, যেখানে প্রতি বছর বহু সিনেমা, সিরিজ ও আরো অনেক কিছু তৈরী হয় ! এক কথায় – স্বপ্ন তৈরী করার কারখানা ! আর, এই গোটা স্টুডিওটা এতোই বরো, তাছাড়া, ঘোরা ছাড়াও অনেক কিছু একটিভিটি করার উপায় আছে ! আছে নানান ধরণের পারফরমেন্স শো ! তাই, আমাদের প্রায় গোটা দিনটাই এর পেছনে চলে যাবে !

মিনিট দশেক এর মধ্যে আমরা পৌঁছে গেলাম ! সামনে ভিড় দেখলে অবাক হয়ে যাই ! যেন, গোটা পৃথিবীর সব ধরণের মানুষ এখানে ঘুরতে এসেছে !

যদিও, ঢোকার আগে এখানেও সব কিছু চেকইন করে – অনেকটা এয়ারপোর্ট এর মতো ! সব কিছু ঠিক হলে, তবেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেবে !
আর, ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়লো কোনো এক অসামান্য পরিচালক, তার ক্যামেরা হাথে নিয়ে আমাদেরকে নিয়ে যেন কোনো ডকুমেন্টরি তৈরী করছেন ! |
 |
তার যেন, মেজাজটাই আলাদা ! আর, যত ভেতরে যাচ্ছি – চারপাশে দেখছি নানানরকমের শহর, বা দোকান বা হোটেল ! আবার, তার ই মধ্যে আছে অনেক শো দেখার অপসন ! এখানে, শো বলতে সব 7-ডি শো ! অর্থাৎ, শুধু দেখবেন যে তা নয়, তার সঙ্গে যা ঘটছে, সেগুলো আপনি অনুভব ও করবেন !

আর, তার মধ্যে আমার চোখে পরে গেলো – আমার ছোটবেলার একজন অত্যন্ত প্রিয় চরিত্র – “লুসি” !

ওনার, বিখ্যাত – “I love Lucy” সবারই পছন্দের !
আরেকটু, এগিয়ে যেতেই চোখে পড়লো দুটো গাড়ি ! এবং, এই দুটো গাড়ি দেখে যেন ভীষণ চেনা লাগছিলো ! কাছে, যেতেই দেখলাম লেখা আছে – কোথায় এই গাড়ি দুটি ব্যবহার হয়েছে !

বাঁ-দিকের উপরেরটা ব্যবহার হয়েছে – “The Taxi Driver” নামে এক বহুল পরিচিত সত্তর দশকের গানে ! আর, নিচেরটি ব্যবহার হয়েছে – “The Mummy Return” – নামের চলচিত্রে ! আমি তাই, গাড়ি দুটোর ছবির সাথে আসল চলচিত্রের অংশটুকু একটা কোলাজ করে দিয়ে দিলাম !
এইবার, আমরা যাবো একটা বাস-রাইড ! যার, অভিজ্ঞতা হয়তো এখানে না এলে কেও করতে পারবে না ! এই, বাস-রাইড এর মধ্যে দিয়ে আমাদের কে গাইড বিভিন্ন সেট এর পাশ দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে আসার সময়ে, সেখানকার নানারকম গল্প মাইক্রোফোনে বলতে থাকেন !

আর, তার সঙ্গে-সঙ্গে বাস এর মাথার ওপরে রাখা মনিটরে সেই সিনেমা বা সিরিজ এর কিছু অংশ, যা সেইসব সেটে শুট করা হয়েছে – দেখাতে থাকেন !

সত্যি কথা বলতে কি, ঘুরতে-ঘুরতে বেশ কিছু সিনেমার অংশ আমরা চিনতে পারলাম !

তার মধ্যে অন্যতম হলো জুরাসিক পার্ক, জস আর ফ্লাইট মুভির কিছু অংশ !
এবং, সব শেষে ওই বাসটি একটি গুহায় প্রবেশ করে ! তখন, আমরা গাইড এর অনুরোধে চোখে 3-ডি চশমা পড়েনি ! এর, মধ্যে শুনতে পাই – “জুরাসিক পার্ক” সিনেমাটির বিশেষ কিছু অংশ, যেখানে বলা হচ্ছে একটা রাপটোর পালিয়ে গেছে ! একটু, পরেই দেখি আমরা গভীর জঙ্গলে ঢুকে গেছি ! এবং, তার কিছুক্ষনের মধ্যে সেই ডাইনোসর আমাদের তারা করে ! আমাদের বাসটি গতি বাড়ি দিয়ে এঁকে-বেঁকে চলতে থাকে ! এক সময়ে আমাদের বাসটা একদিকে হেলে যায় ডায়নোসরের হাথের থাবায় ! পাশের নদীর জল আমাদের সবার গায়ে ছিটকে লাগে ! তারপর, আবার আমাদের বাস অত্যন্ত গতিতে সেই গুহা থেকে বেরিয়ে আসে !
এ এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা ! ছবি তোলার উপায় ছিল না ! কারণ, গোটা গুহাটার ভেতর হলো 3-ডি স্ক্রিন ! আর আমাদের বাসটা সত্যি চলছিল ছুটে ! আর ওই একদিকে হেলে যাওয়াটা ছিল, বাসের নিচে লাগানো কিছু স্পেশাল স্প্রিং ! যেটা, একদিকে ওই সময়ে বসে গিয়ে ওই অনুভব টা সামনে আনে ! আর, নদীর জল এর ছিটে হলো সেই জায়গায় রাখা সুক্ষ অনেক নলের সাহায্যে জল স্প্রে করা ! এই, পুরো অভিজ্ঞতাটা থেকে এটাই মনে হলো – কেন এরা স্পেশাল ইফেক্ট এ সেরা !
পুরো শো-টা শেষ হতে লাগলো প্রায় দশ মিনিট, আর বাকি বাস রাইডটা ছিল চল্লিশ মিনিটের মতো !
এরপর, নেমে আমরা আরো কয়েকটা 3-ডি শো দেখলাম ! অবশ্য, শেষ শো হলো – “হ্যারি পটার এর আজব দুনিয়া” দেখার !
এত্ত সুন্দর যে একটা ফ্যান্টাসি কাসল কেও করতে পারে, তা এদের এখানে না দেখলে কেও ভাবতেই পারবে না ! আকার এ আমাদের রাজস্থানের “সোনার কেল্লার” মতো বা তার থেকে সামান্য বরো !

আর, চাঁদের আলোয় এক অদ্ভুত মায়াবী মুহূর্তের সৃষ্টি করেছে !
শেষ পর্যন্ত আমরা ওই কাসল-এ ঢুকলাম ! প্রথমে, আমাদের হেঠে-হেঠে টপ-ফ্লোর এ উঠতে হলো ! ভেতরে বিশাল লম্বা লাইন ! যদিও, আমরা ভিআইপি পাস কেনায় অনেক ছোট লাইনে অনেক তাড়াতাড়ি পৌছালাম ! ওপরে উঠে একটা করে চেয়ার-এর মতো জায়গায় বসিয়ে দিয়ে আমাদের কে সিট্ গুলো ওরা শক্ত করে আটকে দেওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে চলতে শুরু করলো ! সামনে, বিশাল বোরো স্ক্রিন এ আমরা দেখছি “হ্যারি পটার” এর প্রধান চরিত্র গুলো আমাদেরকে ওদের সঙ্গে এক বিশেষ যুদ্ধে যেতে বলছে ! তার, কিছুক্ষনের মধ্যে আমাদের ওপর শত্রু পক্ষের হানা ! আর, আমাদের সিটগুলো ওই হ্যারির উড়ন্ত ঝাড়ুর মতো উড়ে-উড়ে আমাদের ওপর থেকে কাসল এর নিচে নামিয়ে এমনভাবে আনল, যে মনে হবে আমরা ওই সিনেমার দেশের ভেতরে ঢুকে গিয়ে ওদের সঙ্গে উড়তে-উড়তে নিচে নামলাম ! আরো এক অসামান্য অভিজ্ঞতা ! দেখে মনে-মনে তারিফ না করে পারলাম না !
এরপর, বেরিয়ে এসে আমরা আরেকটু ঘুরে হোটেল এ ফিরতে থাকলাম ! কিন্তু, কি সুন্দর রঙিন আলোয় গোটা স্টুডিওটা যেন সেজে উঠেছে !

|
শেষ দিনে আমরা ঠিক করলাম সকাল এগারোটা নাগাদ বেরোবো ! কাছে একটা খুব সুন্দর এরোপ্লেনের মিউসিয়াম দেখে তারপর আমরা চলে যাবো টার-পিট্স্ বলে শহরের মধ্যে আরেক জায়গায় !
সকাল সাড়ে এগোরাটার মধ্যে পৌঁছে গেলাম !

এদের, দেখলে বোঝা যায় প্রতিটা জিনিস এরা কত সুন্দর করে রেখে দেয় ! যাতে, নতুন জেনারেশন সেটা দেখে এরোস্পেস এ আরো আগ্রহী হয় !

ওখানে রাখা বহু প্লেন ও পুরোনো দিন ও ওয়ার্ল্ড ওয়ার যুদ্ধে ব্যবহৃত সব কিছু রাখা আছে ! পুরো জায়গাটা ঘুরে দেখতে প্রায় ঘন্টা দুয়েক লেগে গেলো !
এরপর, বাইরে বেরিয়ে এসে ক্যাব এর জন্য অপেক্ষা করছি, চোখে পড়লো ডগলাস বিমানটা !

এই বিমানটা এক সময়ে বহু পরিচিত ছিল ! কিন্তু, পর-পর বেশ কয়েকটা দুর্ঘটনা ও মামলাতে হেরে গিয়ে শেষ পর্যন্ত দেওলিয়া হয়ে যায় !
অবশেষে, ক্যাব এসে গেলে আমরা পৌছালাম – “টার পিট্” এ ! এই জায়গাটার বৈশিষ্ট হলো শহরের ঠিক মধ্যে এক জায়গায় সারাক্ষন টার এর গন্ধ বেরোতে থাকে এবং এটা সব সময় ফোটে !

বলা হয় – যে লাভা বেরোতে পারে এখান থেকে বেশি জোরে ভূমিকম্প হলে ! সত্যি কথা বলতে কি – পুরো ক্যালিফর্নিয়া রাজ্যটাই নাকি একটা একটিভ ভলকানো এর ওপর বসে আছে !
তবে এর ঠিক পেছনে আর শহরের রাস্তার সামনে একটা খুব সুন্দর জায়গা আছে, যেখানে বহু রোমান্টিক সিনেমার শুটিং হয়েছে !

আর তার চারপাশের প্রায় সব জায়গা গুলোই কোনো না কোনো সিনেমা বা সিরিয়াল এ দেখানো হয়েছে !

অবশেষে, আমাদের শহরের এডভেঞ্চার শেষ করে বিকেল পাঁচটার মধ্যে আমরা ভেনিস বিচ-এ পৌঁছে গেলাম !

এই বিচটা একটু আলাদা বাকি বিচগুলোর থেকে ! কারণ, এখানে অধিকাংশ এথলিটরা হরেকরকম কসরত করেন ! তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় খেলা হলো সার্ফিং, স্কেটিং !
আমরা ওখানে আধ ঘন্টা থেকে ঠিক করলাম – “সান্তা মনিকা” সিবিচ-এ চলে যাবো ! আর, ওখানে একটু খাওয়াদাওয়া করে সূর্যাস্ত দেখে হোটেল এ ফিরবো !

সেই মতো ক্যাব নিয়ে পৌঁছে গেলাম ! আর, এই জায়গাটা ভীষণ সুন্দর ! সূর্যাস্তের কয়েকটা ছবির কোলাজ দিলাম !

যেহেতু এই জায়গাটা বেশিরভাগ পর্যটকরা আসেন, তাই এখানে সূর্যাস্ত ছবি তুলতে গেলে বেশ কায়দা করতে হয় ! তবে, তার মধ্যে থেকে আমার এই ছবিটা খুব পছন্দের – যেখানে সূর্যাস্তের এক অপরূপ সৌন্দর্যের সাথে পর্যটকদের ঘুরতে আসার সার্থকতাও তুলে ধরেছে !

যখন, সূর্য ডুবে চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেছে ! একটু দূর থেকে সান্তা মনিকা এর সেই বিখ্যাত “রিং”-কে চোখে পড়লো !

একটু কাছে যেতে তার নানারঙের আলোর খেলাও দেখতে পেলাম ! তবে, তার ই পাশে দেখলাম এক জায়গাতে এরা এদের প্রিয়জনদের সমাধিকে খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে রেখেছেন !

সত্যি কথা বলতে কি এই পাঁচদিন আমরা যা ঘুরেছি, হয়তো এই শহরের লোকেরাও এতো কম সময়ে সব জায়গায় ঘুরে উঠতে পারবেনা !
আশা করি একটু বড়ো হলেও আপনাদের আমার এই ঘোরার অভিজ্ঞতা খুব ভালো লাগবে !
এর পরের পর্বে, আমরা যাবো লাস-ভেগাস ! ততদিন, আপনারা অপেক্ষা করুন !
আর, প্রার্থনা করি – আপনারা সব ভালো থাকবেন আর সুস্থ থাকবেন ! |